
৳ ৪৮০ ৳ ৩৬০
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১১৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৬৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ১,৫০০-এর বেশি ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছেন। অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্বসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৯,০০০ মানুষ। এই বইতে ২৬ জন শহীদের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের আলোকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শহীদদের দুর্লভ ছবি ও ভিডিও ক্লিপ QR কোডের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। এত প্রাণ ও রক্তের বিসর্জনের অনুপ্রেরণা কী ছিল শহীদদের?
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কলোনাইজারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা এই ব-দ্বীপের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী কয়েক শত বছর ধরে রক্ত ও প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আসছে। এই জনপদের মানুষ যুগের পর যুগ ইংরেজদের শোষণ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে—বুলেটের বিপরীতে বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে। অসংখ্য প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়। মুসলিম পরিচয় শুধুই রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তি ছিল না; এটি একটি ঐতিহাসিক প্রতিরোধের চেতনার প্রতিফলন।
এত ত্যাগের বিনিময়ে মানুষের চাওয়া ছিল সামান্যই; ইনসাফ (মুসলিম হিসেবে অধিকার, সুবিচার, সুশাসন) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এমন এক সমাজ, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে জীবন-জীবিকা গড়তে পারবে এবং নিজেদের মানোন্নয়নে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হবে। কিন্তু নতুন দেশেও সাধারণ মুসলমানদের স্বপ্নভঙ্গ ঘটে। ক্ষমতা-কেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন, ভারতবেষ্টিত পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মানুষ জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হয়। এরই ফলশ্রুতিতে, অনেক মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে এই জনপদ নতুন দেশ হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করে।
ইনসাফের দাবিতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আবু সাঈদরা
Title | : | শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো -১ম খণ্ড |
Author | : | ডা. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন |
Publisher | : | সিয়ান পাবলিকেশন লিমিটেড |
ISBN | : | 9789843921062 |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Number of Pages | : | 320 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ডক্টর মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ২০ বছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং লাইফ সায়েন্স ও জনস্বাস্থ্য সেক্টরে গবেষণা করছেন। তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর থেকে মলিকিউলার বায়োলজিতে পিএইচডি সম্পন্ন করে ডিউক-এনইউএস গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল স্কুল এবং ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর (এনসিসি)-এ পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। ড. হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর সিংগাপুরে গবেষণার প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর দেশের স্বনামধন্য এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতেও বায়োফার্মাসিউটিক্যাল ড্রাগ তৈরির প্রজেক্টে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স–এ সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এর পাশাপাশি তিনি অনারারি প্রিন্সিপাল ফেলো হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার উলংগং ইউনিভার্সিটির সাথে যুক্ত রয়েছেন। ড. হোসেন বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিআরএফ)-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বিআরএফের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে (জামালপুর) থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ গবেষণা করছেন। তিনি সায়েন্স কমিউনিকেটর হিসেবে গত ২৫ বছর ধরে লেখালেখি করছেন। করোনা অতিমারির সময় তিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি-নির্ধারণে সহযোগিতা করতে জনপ্রিয় মূলধারার সংবাদ মাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে অবদান রেখেছেন।
If you found any incorrect information please report us